ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে, দীর্ঘ মেয়াদী বন্যার শঙ্কা নেই। এছাড়া বেশ কিছু নদী পানি এখন বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে।
জুনের শেষ ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির মুখে পড়ে দেশ। টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে দেশের ৭৯ পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বাড়লেও, বৃষ্টি কমায় এখনও আছে বিপদ সীমার নিচে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জুন মাসে দেশের ৬ বিভাগেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসের শেষেও হতে পারে ভারী বর্ষণ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলছেন, এখন দেশের কোথাও বন্যা পরিস্থিতি নেই। তবে, বৃষ্টি বাড়লে, কিছু এলাকায় দেখা দিতে পারে বন্যা।
তিনি বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী জুলাই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। তবে চলতি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। এটি দেশের ভেতরে এবং উজানেও বেশি। সেক্ষেত্রে আমরা আশঙ্কা করছি মধ্যম মানের একটি বন্যা হতে পারে। চলতি মাসের মাঝামাঝি আবার বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে। তারপর বন্যার পানি কমে আসবে বলে আশা করছি। কাজেই এই বন্যা বড় ধরনের কিছু হবে না বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। এটি স্বাভাবিক বন্যার মতো হবে। এটি বিপদসীমার কিছুটা ওপরে উঠে তারপর আবার নেমে যাবে বলে আশা করছি আমরা।
আরিফুজ্জামান ভুইয়া বলেন, আসন্ন বন্যাটি দীর্ঘায়িত হবার আশঙ্কা নেই। এটি দশদিন থেকে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ- নদীগুলোর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা অব্যাহত থাকতে পারে। একইভাবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানির সমতল বাড়তে শুরু করেছে।
জুলায়ের শেষে টানা বর্ষণের পাশাপাশি উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি আবারো বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
//ইয়াসিন//